রাজধানীর রাস্তায় ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করাসহ ৭ দাবিতে শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ করছেন প্যাডেল চালিত রিকশাচালকরা। ফলে শাহবাগ মোড়কে ঘিরে থাকা প্রতিটি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে ১০টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তারা। অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন রিকশা মালিক ঐক্যজোট।
প্যাডেলচালিত রিকশাচালকদের দাবি, আগে প্রধান সড়কে অটোরিকশা চলত না। ফলে প্যাডেল রিকশা চালকরা পর্যাপ্ত ভাড়া পেত। এখন সব জায়গায় অটোরিকশা চলে, কেউ কিছু বলে না। ফলে তারা কোনো ভাড়া পান না। আগের নিয়মে অটোরিকশা বন্ধ করলে তারা ভাড়া পাবেন। সরকার চাইলেই আগের নিয়ম চালু করতে পারে। তাদের এটা করার জন্য আমরা ৭২ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি।
বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন রিকশামালিক ঐক্যজোটের আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচিতে রাজধানীর রাস্তায় ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করাসহ ৭ দফা দাবি জানান।
রাজধানীর রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করাসহ সাত দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন প্যাডেল চালিত রিকশাচালকরা। ফলে শাহবাগ মোড়কে ঘিরে থাকা প্রতিটি রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার পর শাহবাগ মোড়ে এমন চিত্র দেখা যায়। অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন রিকশা মালিক ঐক্যজোট।
শাহবাগে দেখা যায়, প্যাডেলচালিত রিকশা চালকরা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘চলবে না ভাই চলবে না, ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে,’ ইত্যাদি।
আন্দোলনের বিষয়ে অবরোধকারী রিকশাচালকরা বলেন, অটোরিকশার চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে ন্যায্য ভাড়া আদায় করে না। তারা যেখানে ৫০ টাকা ভাড়া, সেখানে ২০ টাকায় চলে যায়। তাদের কারণে আমরা কোনও যাত্রী পাই না।
তারা আরও বলেন, সারা দিন রিকশা চালিয়ে আমরা যে টাকা কামাই করি, তা দিয়ে নিজেরাই চলতে পারি না। দিনশেষে হাতে কোনও টাকা থাকে না। পরিবারের জন্যও বাড়িতে কোনও টাকা পাঠাতে পারি না।
তাদের দাবি, আগে এলাকার অলিগলিতে অটোরিকশা চলতো, এখন তারা প্রধান সড়কে অটোরিকশা চালায়। প্রধান সড়কে অটোরিকশা ট্রাফিক আইন মেনে চলে না। এদের কারণে যানজট তৈরি হয়, দুর্ঘটনা ঘটে। ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা ইনকামের জন্য নিয়ম না মেনে ইচ্ছা মতো চালায়।
এ প্রসঙ্গে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, চালকরা কিছু দাবি নিয়ে সড়কে দাঁড়িয়েছিলেন। কিছুক্ষণ অবস্থান করে পরে তারা চলে যান। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যানবাহনও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।